Academy

জনাব হাসান একজন ব্যবসায়ী। তিনি কামারপুকুর এলাকায় কিছু কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি তার কারখানার পণ্যগুলো অন্য এলাকায় বিক্রি করেন। তিনি জানতে পারেন, রহমতগঞ্জ ব্যবসার জন্য একটি উত্তম জায়গা। তিনি সেখানে ব্যবসা শুরু করেন। পরে অন্য এলাকার ব্যবসায়ীরাও রহমতগঞ্জে ব্যবসায় শুরু করেন। কাজলদিঘি এলাকার ব্যবসায়ী গিবসন রহমতগঞ্জের চেয়ারম্যানের কাজে হস্তক্ষেপ করা শুরু করেন। পরিশেষে জনাব গিবসন রহমতগঞ্জের চেয়ারম্যানের ক্ষমতা দখল করে শাসন শুরু করেন।

রহমতগঞ্জে ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন বিষয়টিকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর। (প্রয়োগ)

Created: 2 months ago | Updated: 2 months ago
Updated: 2 months ago
Ans :

উদ্দীপকে রহমতগঞ্জে ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় আমার পাঠ্যবইয়ের বাংলায় ইউরোপীয়দের বাণিজ্য বিস্তারের বিষয়টিকে নির্দেশ করে।
ইউরোপের দেশগুলোতে অর্থনীতি বিকাশের ফলে কাঁচামাল ও উৎপাদনসামগ্রীর জন্য বাজারের সন্ধানও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ফলে তাদের লক্ষ্যস্থলে পরিণত হয় ভারতবর্ষ, বিশেষ করে বাংলা। প্রাচীনকাল থেকেই বাংলা অঞ্চল ছিল ধনসম্পদে পূর্ণ রূপকথার মতো একটি দেশ। এ অঞ্চলের সিল্ক ও অন্যান্য মিহি কাপড় এবং মসলা বাণিজ্যের প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে। পুঁজির শক্তিশালী প্রভাব আর উন্নত কারিগরি জ্ঞানের সমন্বয় করে ক্রমে বিদেশি বণিকরা এদেশে স্থানীয় শ্রমিকদের খাটিয়ে বড় বড় শিল্পকারখানা স্থাপন করে প্রচুর মুনাফা করতে থাকে। জনাব হাসানের মতো প্রথমে এখানে পর্তুগিজরা আসে। পরবর্তীতে ওলন্দাজ, দিনেমার, ফরাসি ও ইংরেজরা বাংলায় কারখানা স্থাপন করে। বিদেশি বণিকদের বিনিয়োগ ও ব্যবসায় রমরমা হয়ে ওঠে। দেখা গেছে, তখন শুধু কাশিমবাজারে বছরে ২২ হাজার বেল সিল্ক উৎপাদিত হতো। ওলন্দাজরা তাদের ফ্যাক্টরিতে সাতশ-আটশ মানুষ কাজ করত। ক্রমে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইংরেজদের ভূমিকা প্রাধান্য পায়। ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতে তৎপর হয়। স্থানীয় শাসকদের কাজে বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করে। ষড়যন্ত্র করে ২২ বছরের নবাবকে পরাজিত করে বাংলায় ইংরেজ কোম্পানির শাসন শুরু করে।

তাই বলা যায়, উদ্দীপকে উল্লিখিত রহমতগঞ্জের ঘটনাটি বাংলায় ইউরোপীয়দের বানিজ্য বিস্তারের বিষয়টি নির্দেশ করা হয়েছে।

2 months ago

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

উপনিবেশিকরণ হলো একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একটি দেশ অন্য দেশকে অর্থনৈতিক শোষণ এবং লাভের উদ্দেশ্যে নিজের দখলে আনে। দখলকৃত দেশটি দখলকারী দেশের উপনিবেশে পরিণত হয়। বাংলাও প্রায় দুইশ বছর ইংরেজদের অধীনে উপনিবেশ ছিল।

বাংলায় মানব বসতি প্রাচীনকাল থেকেই শুরু হয়। এই অঞ্চল ধনসম্পদে ভরপুর থাকায় বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এখানে এসে বসতি গড়ে তোলে। বাংলার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই ছিল বহিরাগতদের আকর্ষণের প্রধান কারণ।

শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় দীর্ঘ সময় ধরে কোনো শক্তিশালী শাসক না থাকায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই সময়কে মাৎস্যন্যায় যুগ বলা হয়। এটি সংস্কৃত ভাষায় 'বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে' এমন অরাজকতার সময় নির্দেশ করে। এ সময়ে বাংলা বহু রাজ্য বিভক্ত হয়ে পড়েছিল।

বাংলার স্বাধীন সুলতানি শাসনের সূচনা হয় ১৩৩৮ সালে। সোনারগাঁওয়ের শাসনকর্তা ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ দিল্লির সুলতানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পরে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বাংলার প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন।

সুলতানি আমলে বাংলার প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন সুলতান - শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ। তিনি বাংলার বৃহদাংশ অধিকার করে 'শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান' উপাধি গ্রহণ করেন। তার শাসনকালে বাংলার ঐক্য, 'স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়

সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ বাংলার ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বাংলার শিল্প-সাহিত্য এবং সংস্কৃতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর শাসনকালে বাংলার অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধি লাভ করে।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...